মুখের জড়তা বলতে আসলে আমরা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারি তার সঙ্গে যুক্ত। আমরা অনেক সময় অপরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে সাহস পাইনা, আবার অপরিচিত মানুষের সাথে কি বলবো তা ভেবে আমরা সময় নষ্ট করি, আবার আমরা যা বলছি অনেক সময় তার উপরও আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।আজকে আপনাদেরকে আমার আশে-পাশে যারা দারুণভাবে কাজ করে, যারা ভালো ভালো গল্প বলে আজকে তাদের কৌশলগুলো আপনাদের জানাতে চাই।
তারা সবাই বিশ্বাস করে যে তাদেরকে সবাই ভালোবাসে। আমরা কথা বলার আগে অনেক চিন্তা করি, যার সাথে কথা বলছি সে আমাকে পছন্দ করবে কিনা? নাকি আমার কোনো কথা শুনবে না। যারা ভালো ভালো গল্প করেন, ভালো বক্তা-তারা সব সময় সবাইকে নিজের লোক ভেবে থাকেন। তাদের শত্রুর সামনেও তারা নিজেকে শত্রুর আপন করে তোলার যাবতীয় কৌশল জানে বলে তারা সবাইকে সংযুক্ত করতে পারে।
কম শব্দে কিভাবে বেশি কথা বলবেন। মুখের জড়তা কাটানোর মানে এই নয় যে আপনি বেশি কথা বলবেন। আগে টুইটারে যেমন ১৪০ শব্দের মধ্যে সব কথা বলা যেত তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ছোট এবং সেই সাথে বেশ কার্যকর ছিল বলে দাবি করেন অনেকে। আপনি মানুষকে যা বলতে চাইছেন বা যা বুঝাতে চাইছেন, তা আপনি যত কম শব্দে বুঝাবেন তা অনেক সময় বেশি হিসেবেই সবার কাছে পৌঁছে যাবে।
আমাদের সংযোগ প্রয়োজন। আমরা যা কথা বলি, সব কথার সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের কোনো সংযোগ থাকে না। আমাদের কথা মুখ দিয়ে বের হলেও আমাদের কথা আসে আমাদের ফুসফুস থেকে, আর আমাদের ফুসফুস থাকে আমাদের লিভার আর হৃদপিন্ডের সাথে। আমাদের কথায় যদি আমাদের সেই আগ্রহ এবং গতি না থাকে তাহলে কেউ আমাদের কথা শুনবে চাইবে না।
অন্যদের অনুসরণ করুন। আমরা সব সময় নিজেকে অন্যদের উপস্থাপন করতে চাই। মুখের জড়তা বা যে কোনো ধরনের সমস্যা কাটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে মনে মনে কাউকে অনুসরণ করা বা তার কাজগুলো মনে করা । আপনি যখন কথা বলবেন তখন বিখ্যাত যেকোন ব্যক্তিত্বের কাজ হুবুহু অনুসরণ করতে পারেন। মানে আপনাকে অনুকরণ করতে বলছি না, তার বিশেষ কৌশলগুলো আপনি আয়ত্ব করুন।
আর পড়ুন
নিজেকে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে কিভাবে প্রতিষ্টিত করবেন ? How to Make You Stronger Person
মেলবেট এফিলিয়েট রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের নামে প্রমোকোড নিবেন কিভাবে?
অন্যের কথা শুনুন। মানুষকে ছোট ছোট প্রশ্ন করতে শিখে ফেলুন । নিজেকে একজন ‘কিউরিয়াস’ মাইন্ডের গড়ে তুলুন। তাহলে আপনার মুখের জড়তা কাটবেই।