বর্তমান সমাজের বিশাল একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিয়ের পর বউ নিয়ে বাবার পরিবারে থাকা। বিয়ের পর বউ নিয়ে কোথায় থাকবেন,এই সংঘাত বর্তমানে যৌথপরিবারের একটি চিরচেনা রূপ। আমি বহু পরিচিত ও দ্বিনি ভাইকে এই মাইনকার চিপায় আটকে থাকতে দেখেছি বিয়ের পর বউ নিয়ে কোথায় থাকবে এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে।তাহকে এখন করণীয় কী?সমস্যার সমাধান কিন্তু এতো সহজ নয়,কারণ এটি জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি অনেক সময় বলি,
“সাধারণত আমরা হালাল খাবার যদি না পাই,তাহলে হারাম খাবারের দিকে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমাদের বিয়ে করা দরকার।” এই রকম টেন্ডেন্সি আপনাকে আপনার সাংসারিক জীবনে খুব লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। আপনার চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথাদ্রুত সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপরএই বিয়ে করুন।”
বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়ের-ই কিছু ব্যাসিক চাহিদা আছে। যেমন উদাহরণস্বরূপ- আমার ইচ্ছানুযায়ীএমন একটা সংসার হবে যেখানে,
১.স্বাধীন রুম
আমার একটা নিজের ব্যক্তিগত ঘর থাকবে, যা আমি ও স্বামীকে নিয়ে স্বাধীনভাবে আমার ইচ্ছামত সাজিয়ে নিবো।
২. স্বাধীন রান্নাঘর
আমার নিজের জন্য একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি নিয়মিত আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন আমার ও স্বামীর পছন্দের রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। বেশি তেল বা চিনি বা নুন অপচয়ের জন্য খোঁটা দেয়ার মত কেউ থাকবে না।
৩. প্রাইভেট স্পেস
আমার একটি প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার সাথে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাওয়ার জন্য আসবে না।
৪. চাহিদা বা অবদার
আমার স্বামীর কাছে যে কোনো রকমের ছোটোখাটো আবদার বড়সড় অনুযায়ী দাবী করলে অন্য কেউ এসে “ন্যাকামো” বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়ে মারবেনা।
আপনি বেটিং করেন? প্রতিদিন সিউর টিপস পেতে চান? এই তেলিগ্রামে জয়েন করুন
৫.ব্যক্তিগত সময়
আমি আমার স্বামীর সাথে একান্তে সময় ব্যয় করলে কেউ বাঁকা চোখে থাকিয়ে থাকবে না৷
৬.সামাজিক অপকর্ম
বর্তমানে সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম অনেক আত্মীয়দের সামনে আমাকে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠানোর কেউ থাকবেনা।
৭.দেবরের নজর
কোন রকমের প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে খাবার দেওয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যাওয়ার প্রয়োজন না।
৮.স্বাশুড়ির রাজনীতি
স্বামীর মা তথা শাশুড়ী কিংবা ননদদের কোনো রকমের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশীল হতে হবে না।
৯.পরিবারের নিয়ামত
যে পরিবারে আমাকে মূল্যবান একজন নেয়ামত ভাবা হবে, কোনো কাজ করার যন্ত্র হিসেবে ভাবা হবে না।
১০.সামাজিক সম্মান
আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেয়া হবে, কোনো রকমের লাঞ্চিত করা হবে না।
মেয়েরা ইত্যাদি ইত্যাদি আরো নানারকমের স্বপ্নে তারা বিভোর থাকে। আর এগুলো হচ্ছে তাদের হালাল কিছু যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে এসব নসিহা করার অধীকার কারোর ই নেই। কিন্তু দেশের খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েরাই তাদের এই মৌলিক চাহিদাগুলোর কাছাকাছি পৌছাতে পারে। দেশের বিশাল একটি মেয়েদের অংশই হয় মোটামুটি বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।
আপনাদের হয়তো অনেকের ই জানা আছে।বাংলাদেশের এক বিশাল সংখক মেয়েরা বর্তমানে বিয়ে করতে ভয় পায়, কারণ এতোটাই ভয় পায়, বিয়ের নাম মুখে নিলেই বা শুনলেই তারা ভয়ে কেঁপে ওঠে।