• Home
  • Life Style
  • ল্যাপটপ ক্রয় করার পুর্বে জেনে নিন । কম্পিউটার কিনতে চাইলে জানতে হ

ল্যাপটপ ক্রয় করার পুর্বে জেনে নিন । কম্পিউটার কিনতে চাইলে জানতে হ

ল্যাপটপ ক্রয়

ল্যাপটপ ক্রয় করার পূর্বে আপনাকে বিশেষ কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে। আপনার বাজেটের সাথে ল্যাপটপের কনফিগারেশন মিলিয়ে আপনাকে ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। একটু ভেবেচিন্তে ল্যাপটপ ক্রয় করলে আপনার বাজেট অনেকটাই কমে যাবে এবং কম বাজেটের মধ্যে আপনি ভালো একটি ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ল্যাপটপ ক্রয় করার পূর্বে আপনাকে কোন কোন বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

কাজের ধরণ নির্ধারণ করুন
আপনি যে ল্যাপটপ ক্রয় করবেন সেটা কোন দেশে ব্যবহার করবেন প্রথমে সেটা ঠিক করুন। আপনি ল্যাপটপটি কোন অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যবহার করবেন নাকি কোন প্রোগ্রামিং কিংবা পেশাগত কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ল্যাপটপ কিনতে হবে।

  • সাধারণ ব্যবহার : সাধারণ ব্যবহার বলতে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্রাউজিং সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং এবং মুভি দেখা ইত্যাদি বুঝায়।
  • পেশাগত কাজ : আপনি যদি প্রোগ্রামের ভাষা শিখতে চান কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে হাইকনফিগারেশন এর একটি ল্যাপটপ কিনতে হবে।
  • গেমিং : তবে আপনি যদি গেমিং করতে চান অর্থাৎ গেম খেলার জন্য একটা ল্যাপটপ কিনে চান তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ কমেরেশন এবং প্রসেসর দেখেই আপনাকে একটি ল্যাপটপ কিনতে হবে।

1XBET একাউন্ট খুলে ইনকাম করুন মাসে ১ লাখ টাকা

বাজেট নির্ধারণ
ল্যাপটপ কেনার জন্য আপনি কি পরিমাণ বাজেট করেছেন তার সাথে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড ভেল্যুর সাথে তুলনা করেন।

  • এন্ট্রি-লেভেল : আপনি যদি সাধারণ ব্যবহারের জন্য একটি ল্যাপটপ কিনে চান তাহলে আপনি ৩০০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজেট করতে পারেন।
  • মিড-রেঞ্জ : যদি আপনি প্রোগ্রামিং শিখতে চান কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ভিডিও টিনের কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে মিনিমাম ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজেট করতে হতে পারে।
  • হাই-এন্ড : আপনার সাথে গেমিং লাইক করতে যান অর্থাৎ গেম খেলতে চান তাহলে আপনাকে মিনিমাম ১ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এটা ল্যাপটপ কেনার পেছনে বাজেট করতে হবে।

প্রসেসর (CPU)
ল্যাপটপ কেন এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর হচ্ছে একটি ল্যাপটপের মস্তিষ্ক। প্রফেসর আপনার ল্যাপটপের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করবে।

  • আপনি সাধারণ ব্যবহারের জন্য Intel Core i3 পছন্দ করতে পারেন।
  • আপনি প্রোগ্রামিং কিংবা গ্রাফিক্স কিংবা এডিটিং এর জন্য  Core i5 পছন্দ করতে পারেন।
  • অথবা আপনি যদি একই সাথে করতে চান অর্থাৎ গেমিং সহ করতে চান তাহলে Core i7 বা i9 পছন্দ করতে পারেন।
  • অথবা Ryzen 3, Ryzen 5, Ryzen 7 ইত্যাদি পছন্দ করতে পারেন।

RAM
৪GB : সাধারণ কাজ বা ব্যবহারের জন্য।
৮GB : ইডিটিং কাজ অর্থাৎ পেশাগত ও মিড-রেঞ্জ কাজের জন্য।
১৬GB বা বেশি: গেমিং খেলার জন্য অথবা হাই রেঞ্জের ভিডিও এডিটিং করার জন্য।

স্টোরেজ
SS মানে (Solid State Drive) যা দ্রুত পারফরম্যান্স করার জন্য দরকার (২৫৬GB বা ৫১২GB ভালো)।
HDD মানে (Hard Disk Drive): বেশি স্টোরেজ প্রয়োজন হলে আপনি (১TB বা ২TB) নিতে পারেন।
অনেকগুলো ল্যাপটপ রয়েছে যারা SSD+HDD কম্বো প্যাক দিয়ে থাকে।

গ্রাফিক্স কার্ড (GPU)
আপনি যদি সাধারণ কাজ করতে চান তাহলে  ইন্টিগ্রেটেড গপূ আপনার জন্য যথেষ্ট।
আর আপনি যদি গেমিং করতে চান, গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করতে চান বা উচ্চ মানের ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে আপনার Dedicated GPU অর্থাৎ (NVIDIA GeForce, AMD Radeon) প্রয়োজন হবে।

ডিসপ্লে (Display)
আপনার ল্যাপটপ এর সাইজ ১৩ ইঞ্চি হতে পারে যা (পোর্টেবল) অথবা ১৫ ইঞ্চি যা (ব্যালেন্সড) অথবা ১৭ ইঞ্চি যা (গেমিং বা ডেক্সটপ রিপ্লেসমেন্ট) এর জন্য প্রয়োজন।

রেজোলিউশন(Resolution)
ল্যাপটপ এত ডিসপ্লে Full HD (1920×1080) হচ্ছে সাধারণ মান।যদি 4K ডিসপ্লে হয় তাহলে আরও ভালো মানের বা ভিজ্যুয়াল।
ল্যাপটপ এর জন্য IPS প্যানেল বেশি প্রেফার করুন যাতে আপনি ভালো কালার ও ভিউয়িং এঙ্গেল পান।

আপনি কি ফুটবল ও ক্রিকেট গেইম খেলে ইনকাম করতে চান? তাহলে যুক্ত হোন এই চ্যানেলে

ব্যাটারি লাইফ
আপনি যদি বাইরে বেশি সময় ধরে কাজ করেন তাহলে আপনার ল্যাপটপের জন্য ব্যাটারী (৭-১০ ঘণ্টা) ব্যাকাপ দেয় এরকম একটি ল্যাপটপ নির্বাচন করুন।
যদি আপনার কাজ ভারী হয় তাহলে আপনার ল্যাপটপে ব্যাটারির ব্যাকআপ একটু কম হতে পারে।

পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি
আপনার ল্যাপটপে USB 3.0 ও USB-C ও HDMI  এবং সাথে SD Card রিডার এর প্রয়োজন আছে কিনা দেখুন। ল্যাপটপে Wi-Fi 6 এবং Bluetooth 5.0 এর সুবিধা থাকলে তাহলে আপনি দ্রুত কানেক্টিভিটি পাবেন।

ওজন ও পোর্টেবিলিটি
আপনি যদি নিয়মিত ভ্রমণ করতে চান তাহলে হালকা (১.৫-২ কেজি)ওজকের এবং একটি স্লিম ল্যাপটপ কিনার চেষ্টা করুন। আর আপনি যদি গেমিং বা হেভি ডিউটি কাজ করতে চান তাহলে ল্যাপটপ এর ওজন সাধারণত একটু বেশি হবে।

অপারেটিং সিস্টেম
Windows : এটি একটি সাধারণ ও বহুল ব্যবহৃত একটি অপারেটিং সিস্টেম।
macOS : এটি অ্যাপল ল্যাপটপের জন্য।  এটি ভালো পারফরম্যান্স দেয় ও নিরাপত্তা দেয়।
Linux : আপনি যদি বিশেষায়িত কোনো কাজ করতে চান তাহলে এই অপারেটিং সিস্টেম।
Chrome OS : এটি সাধারণ ব্যবহার এবং শিক্ষার জন্য বেস্ট।

রাজনৈতিক নেতা কিভাবে ধনী হয় ? দ্রুত ধনী হওয়ার উপায়

ব্র্যান্ড এবং বিক্রয়োত্তর সেবা
আপনি আপনার জন্য নির্ভরযোগ্য একটি ব্র্যান্ড বেছে নিন ( যেমন: জনপ্রিয় Dell বা HP অথবা Lenovo, ASUS, Apple) ইত্যাদি। আপনার পছন্দের ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি এখন কাস্টমার সুবিধা কি কি আছে তা যাচাই করে কিনুন।

রিভিউ এবং ফিডব্যাক
বর্তমানে ইউটিউবে প্রতিটি ল্যাপটপের রিভিউ দেওয়া আছে। আপনি যে ল্যাপটপটি পছন্দ করবেন তার রিভিউ দেখুন এবং তার পারফরমেন্স এবং সাথে বাজেট দেখে নিন। যদি আপনার বাজেটের সাথে আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি মিলে যায় তাহলে সে টি কেনার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি উপরের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখে একটি ল্যাপটপ পছন্দ করেন তাহলে সেটি আপনার জন্য মানানসই হবে এবং আপনার বাজেট অনেকটাই কমে যাবে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির ল্যাপটপ আসাতে সেই ল্যাপটপগুলোর সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। কেননা আপনার ল্যাপটপের কোন সমস্যা হলে আপনাকে অবশ্যই সার্ভিসিং সেন্টারে যেতে হবে।

Releated By Post

বিদেশ গমন করার পূর্বে এই দক্ষতাগুলো অর্জন করে নিন

বিদেশ গমন করার আগে নিচের এই দক্ষতা গুলো শিখে হওয়ার…

মাত্র ২৮ দিনে জীবন পরিবর্তন করতে চাইলে ৮ টি নিয়ম মেনে চলুন

আমাদের জীবন পরিবর্তন করার জন্য আমরা কত কিছুই না করি।…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

× Text me