কিডনি হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি রোগ এর বেশকিছু কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। একজন মানুষের কিডনি রোগ এর ৫০ ভাগ ক্ষতি হওয়ার পরেই কিডনি রোগ প্রকাশ পায়। মোটামুটি বলা যায় কিডনি রোগ আমাদের শরীরের জন্য নীরব ঘাতক হয়ে কাজ করে। আজকের এই ব্লগে আপনাদেরকে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করব বিরক্তি এবং কিডনি রোগের লক্ষণ কি ও কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি।
প্রাণীর শরীরে কিডনির কাজ
আমাদের শরীরে কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে দূষিত বর্জ্য বের করে দেওয়া এবং শরীরের রক্ত পরিশোধিত করা। এভাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সারা জীবন কিডনির কাছে চলতে থাকে। এর ফলেই মূলত মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে। আমাদের শরীরে কিডনি প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে এবং ১.৫ থেকে ২ লিটার দূষিত বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দিয়ে থাকে। এসব দূষিত বর্জ্য সাধারনত আমাদের প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বের হয়ে যায়। ৫ ভাগ বরজা আমাদের পায়খানার মাধ্যমে বের হয় এমন কিছু কিছু বর্জ্য আমাদের শ্বাস-প্রশাসের মাধ্যমে বের হয়।
ঘন ঘন প্রস্রাবের সাথে কিডনির সম্পর্ক
আমাদের অনেকের ঘনঘন প্রস্রাব হয়। কারণ আমরা অতিরিক্ত পানি পান করি। ধরে নিন একজন মানুষ নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ লিটার পানি পান করে। তাহলে ওই ব্যক্তির ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। কেননা কিডনি তার প্রয়োজন মত পানি ধরে রেখে বাকিগুলা বের করে দেয়। যার ফলে আমাদের ঘরে ঘরে প্রস্রাব হয়। আর অন্য দিকে যখন একজন ব্যক্তি দিনে এক থেকে দুই লিটার পানি পান করবে, তখন তার দিনে একবার দুইবার প্রস্রাব হয়। কেননা কিডনি তার প্রয়োজন মত পানি গুলো ধরে রেখে বাকিগুলা বের করে দেয়।
আপনি কি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান ? তাহলে যুক্ত হোন এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে
কিডনি রোগের কারণ গুলো
আমাদের শরীরে যেসব কিডনি রোগ হয় তার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ভাগ্য রোগের কারণগুলো জানা যায় না। সাধারণত ডাক্তাররা বলেছেন সারা দুনিয়াতে কিডনির প্রধান রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগের লক্ষণ। সারা দুনিয়াতে ডায়াবেটিস কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ হল বাংলাদেশ এটি দুই নাম্বার লক্ষণ এবং উচ্চ রক্তচাপ সারা দুনিয়াতে কিডনি রোগের দুই নাম্বার লক্ষণ হলেও বাংলাদেশে এটি তিন নাম্বার লক্ষণ। আমাদের কোন ধরনের রোগ হলে আমরা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে নেই যা আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মত কাজ করে। কিন্তু ফার্মেসের এই ওষুধ পরবর্তীতে আমাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষ করে আমাদের শরীরে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যাথা অনুভব করলে আমরা সরাসরি ফার্মেসি থেকে ব্যথার ওষুধ কিনে খাই। ব্যথার ঔষধ হচ্ছে স্পর্শকাতর। এই ব্যতার ঔষধ পরবর্তীতে আমাদের কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা গেলে কিডনি অনেক সময় অকেজ হয়ে যায়। যেমন আমাদের শরীরের রক্তকরণ হলে, বমি করলে, ডায়রিয়া হলে, সন্তান প্রসব পরবর্তী বিশেষ বিশেষ কিছু জটিলতায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। পানশূন্যতার কারণে হঠাৎ করে আমাদের শরীরের কিডনি বিকল হয়ে যায়। অর্থাৎ কিডনিতে যখন আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয় তখন কিডনির সেলগুলো সাধারণত অক্সিজেন পায় না।যার ফলে কিডনি বিকল হয়ে যায়।
কিডনি রোগের লক্ষণগুলো
কিডনি রোগ সাধারণত একটি নীরব ঘাতক রোগ। সাধারণত ৫০ ভাগ কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে এই লক্ষণ গুলো দেখা যায়। এরপর যেসব লক্ষণ গুলো দেখা যায় তার নিচে দেওয়া হল।
১.সাধারণত আমাদের শরীর ফুলে যায়, এখন এই ফুল আঁকা শুরু হয় সাধারণত আমাদের মুখমন্ডল থেকে।
২.প্রস্রাব কমে যেতে পারে আবার বেটাও যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের প্রস্রাব বেড়ে যায়।
৩.শরীরের সব সময় চুলকানি থাকে, আপনি কোন কাজে মন বসাতে পারবেন না।
৪.কিডনি রোগের সমস্যা হলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়।
৫.প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হতে পারে অথবা প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে।
৬.আপনার খেতে ইচ্ছে করবে না রক্তশূন্যতার দেখা দিবে বমি বমি লাগবে।
৭.কোমরের দুই পাশে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বেতার তলপেটেও হতে পারে।
টাকা ইনকাম করার সহজ কিছু উপায় যা আপনার ইনকাম বাড়াবে সহজে
প্রতিরোধের সম্ভাব্য উপায়
সাধারণত যাদের বয়স ৪০ বছরের উপরে তাদের উচিত প্রতি বছরের একবার করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা। ডায়াবেটিস রোগীদের পরীক্ষা করানোর ফলে তাদেরকে নিয়ে সমস্যাটা ধরা পড়ে। সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার ১৫ থেকে ২০ বছর পরে কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কারো কারো থেকে সাত থেকে ১২ বছরের মধ্যেও কিডনিরোগ দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ যদি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে কিডনি রোগ না হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। পানি শূন্যতা কাটানোর জন্য আপনি নিয়মিত পানি পান করতে পারেন অথবা স্যালাইন খেতে পারেন অথবা ৩৮ স্যালাইন আপনার শরীরে দিতে পারেন। তাছাড়াও আরো কিছু করণীয় রয়েছে তার নিচে দেওয়া হল।
১.ডায়াবেটিস রোগীকে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ও অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
২.চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ ছাড়া কোন রকমের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না এমন কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা।
৩.আপনার রোক অল্প থাকতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪.আপনার কিডনিতে যদি পাথর হয় পাথর যাতে ব্লক করতে না পারে এজন্য নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে।
৫.আপনার ডাইরি ও বমি বমি ভাব হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।
৬.প্রস্রাব কমে গেলে বা প্রস্রাব সমস্যা দেখা দিলে অথবা প্রসবকালীন সব জটিলতা দূর করার জন্য আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে নিয়মিত।