বর্তমানে উঠতি বয়সী সব ছেলেরাই নতুন বাইক ক্রয় করতে চায়। কিন্তু শুরুতেই তারা ভুল করে তাকে কোন মডেলের নতুন বাইক ক্রয় করতে হবে তার অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে। আপনি যদি সত্যিই bike ক্রয় করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ে ফেলুন।তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাইক কেনার পূর্বে আপনাকে কোন কোন বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
ব্যবহারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ
সর্বপ্রথম আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনার নতুন বাইক কেনার উদ্দেশ্য কি। আপনার উদ্দেশ্য ঠিক করার পরেই আপনাকে বাইকের মডেল পছন্দ করতে হবে।
দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য : দৈনন্দিন চলাফেরা কিম্বা দৈনন্দিন ব্যক্তিগত কাজের জন্য আপনাকে একটি ভালো মাইলেজ বাইক ক্রয় করতে হবে। যেটি হবে আরামদায়ক এবং কম বাজেট।
লং ড্রাইভ বা ট্যুর : বিশেষ করে যারা ট্যুর করেন তাদের জন্য এটি শক্তিশালী ইঞ্জিনিয়ার বাইক দরকার। মোটামুটি লং ড্রাইভের জন্য আপনাকে একটু দ্রুত গতি সম্পন্ন বাইক কিনতে হবে যেটার জন্য মোটামুটি মিডিয়াম বাজেট হলেও চলবে।
স্পোর্টস : আপনি যদি স্পোর্টস অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান আপনাকে শক্তিশালী ইঞ্জিনের এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বাইক ক্রয় করতে হবে।
টাকা ইনকাম করে বাইক কেনার সহজ উপায় জেনে নিন এই চ্যানেল থেকে
বাজেট নির্ধারণ করুন
বাইক কেনার উদ্দেশ্যটি করার পরে আপনাকে আপনার বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমে আপনাকে আপনার বাজেট টি আপনার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এরপর আপনার বাজেটের সাথে মিল রেখে একটি বাইকের মডেল পছন্দ করেন। জেনে রাখা উচিত বাইকের মূল দাম রাখার পরেও আপনাকে বাইকে রেজিস্ট্রেশন, বাইকের মেইনট্যানেন্স এবং বীমার জন্য অতিরিক্ত কিছু বাজেট করতে হবে।
ইঞ্জিন ক্ষমতা (CC)
এক এক বাইকেও ইঞ্জিনের ক্ষমতা এক এক রকম হয়ে থাকে।
দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য : আপনার দৈনন্দিন ব্যক্তিগত কাজের জন্য আপনি ১০০ থেকে ১২৫ সিসির বাইক ক্রয় করতে পারেন।
লং ড্রাইভ অথবা ট্যুরের জন্য : আপনি যদি ব্রাহ্মণ প্রেমী হয়ে থাকেন এবং লং ড্রাইভ করতে চান তাহলে আপনাকে ১৫০ থেকে ২০০ সিসির বাইক কিনতে হবে।
স্পোর্টস এর জন্য : আপনি যদি প্রতিযোগিতা এবং গেমিং পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে মিনিমাম ২৫০ সিসির বাইক কিনতে হবে।
মাইলেজ ও ফুয়েল ইকোনমি
বর্তমানে বাইক কেনার পূর্বে অনেকে ফুল নিয়ে চিন্তা করে বেশি।তাদের উচিত মাইলেজ ভালো এমন একটি বাইক আপনাদেরকে কিনে নিতে হবে।তাহলে আপনারা ফুয়েল নিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকবেন। সাধারণত দিনে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয় এরকম বাইক আপনার দৈনন্দিন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য উপযোগী।
ডিজাইন ও আরামদায়কতা
বাইক খানার পূর্বে আরেকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত সেটা হচ্ছে আপনি যে বাইকটি পছন্দ করেছেন অথবা যে মডেলটি পছন্দ করেছেন, সেটির সাথে আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় কিনা।
এবং আপনার শরীরের উচ্চতার সাথে আপনার বাইকের উচ্চতা মিলিয়ে দেখুন।
মোবাইল ফোন ক্রয় করার পূর্বে এই বিষয়গুলি আপনার জানতেই হবে
ব্র্যান্ড ও রিভিউ
বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু নির্ভরযোগ্য ব্রান্ড রয়েছে সেগুলো হচ্ছে Hero, Honda, Yamaha, Bajaj, TVS, এবং Suzuki।যারা পূর্বে এই মডেলের বাইকগুলো কিনেছে তাদের থেকে বাইকগুলোর রিভিউ জেনে নিন। অথবা আপনি ইউটিউব থেকে প্রতিটি বাইকের অনলাইন রিভিউ দেখে নিন। এরপর আপনি কোন বাইকটি কিনতে চান তা সিদ্ধান্ত নিন।
ব্রেকিং সিস্টেম
যারা দ্রুত বাইক চালান তাদের জন্য ব্রেকিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাম ব্রেক: সাধারণত কম দামি এবং কম শক্তিশালী বাইকে ড্রাম ব্রেক রয়েছে।
ডিস্ক ব্রেক: যারা দ্রুত বাইক চালান তারা বাইক কেনার সময় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে কিনা সেটি যাচাই করুন। যাতে দ্রুতগতির বাইট আরামদায়ক স্থানে থামাতে পারেন।
ABS (Anti-lock Braking System): কিছু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং আধুনিক বাইক রয়েছে সেগুলোতে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে।
মেন্টেন্যান্স ও খুচরা যন্ত্রাংশ
আপনি যে বাইকটি পছন্দ করেছেন সেটির মেইনটেন্যান্স খরচ কেমন হবে তা যাচাই করুন। যে বাইকটি আপনি কিনতে চাচ্ছেন সেটির খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় কিনা তা আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন। যদি খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া না যায় তাহলে বাইক নষ্ট হলে আপনাকে অনেক হয়রানি পোহাতে হবে।
বীমা এবং রেজিস্ট্রেশন খরচ
আপনি বাইক কেনার সময় অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করে বাইক নিবেন। আপনার রেজিস্ট্রেশন খরচ এখন বিমার খরচ কেমন পড়বে তা সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হন।
পরীক্ষামূলক চালনা (Test Ride)
বাইক কিনে নেওয়ার পরে অবশ্যই একটি পরীক্ষামূলক রাইট দিয়ে আসবেন। পরীক্ষামূলক রাইট দেওয়ার পরে আবার যদি সবকিছু আরামদায়ক বলে মনে হয় তাহলে আপনি সে বাইকটি নিঃসন্দেহে নিয়ে নিতে পারবেন।
ল্যাপটপ ক্রয় করার পুর্বে জেনে নিন । কম্পিউটার কিনতে চাইলে জানতে হবে
ইকো-ফ্রেন্ডলি অপশন
আপনি যদি পরিবেশবান্ধব একটি অপশন চান তাহলে ইলেকট্রিক বা হাইব্রিড বাইক আছে এমন একটি বাইক আপনাকে পছন্দ করতে হবে।
ওয়ারেন্টি সেবা
আপনি যে বাইকটি নিচ্ছেন সে বাইকটির ওয়ারেন্টি এবং ফ্রি সার্ভিসিং সুবিধা রয়েছে কিনা তা জেনে নিন।
আপনার আশেপাশে এই বাইকের সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে কিনা তা জেনে নিন।
ফাইন্যান্সিং অপশন
আপনার যদি আর্থিকভাবে কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে শোরুমের মালিকের সাথে কথা বলে লোনের মাধ্যমে সে বাইকটি নেওয়া যায় কিনা তা নিচে ফোন। যদি লোনের মাধ্যমে আপনি সে বাইকটি কিনেন তাহলে ভালোভাবে কাগজপত্র গুলো যাচাই করে নিন।
উপরের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে যদি আপনি বাইক ক্রয় করেন তাহলে আপনি কখনো আপনার বাজেট নষ্ট করবেন না এবং বাইক কেনা কখনো ঠকবেন না। বিশেষ এই বিষয়গুলো নজরদারকে রেখে আপনাকে বাইক কেনার পরামর্শ দেওয়া হলো।