যুগে যুগে বিজ্ঞানীরা রোজার উপকারিতা নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। কেননা মুসলিমরা প্রতিবছর ৩০ দিন রোজা রাখে, সেই ৩০ দিন রোজার উপকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষনার কোনো শেষ নেই। যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার ফলে রোজার উপকারিতা নিয়ে অনেক কিছুই বের হয়েছে।আজকের এই ব্লগটিতে আপনাদেরকে আমরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোজার বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে রোজা রাখার ফলে মুসলিমদের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় আমাদের জীবন ক্যান্সার ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। কিন্তু প্রতিবছর ৩০ রমজান যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে আমাদের এ ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মুসলিমদের এই 30 রমজান তাদের জীবনে ক্যান্সার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই সবাইকে মাঝেমধ্যে সারাদিন না খেয়ে উপবাস থাকার জন্য বিজ্ঞানীরা সাজেস্ট করেছেন।
মেলবেট মাস্টার এজেন্ট কিভাবে নিবেন? মাত্র ১০০ ডলারে মেলবেট মাস্টার এজেন্ট নিয়ে ইনকাম করুন ঘরে বসে
গ্যাস্ট্রিক কমে যায়
আমাদের জীবন যাপনে আমাদের প্রায় সবারে গ্যাস্ট্রিক রয়েছে। গ্যাস্ট্রিক এখন বর্তমানে সবার নিত্য সঙ্গী। গ্যাস্ট্রিকের মেডিসিন সেবন করনা এমন ব্যক্তি বর্তমানে খুবই কম দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ৩০ রমজান মুসলিমদের গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে খুব সহায়তা করে। এই ৩০ রমজানের ফলে অনেকের গ্যাস্ট্রিক একদম নিম্ন মাত্রায় চলে আসে।
কিডনি ভালো রাখে
নানারকম ড্রিংক সেবন করে আমরা আমাদেরকেডনিকে বিপদের সম্মুখীন করে ফেলি। অতিরিক্ত মাদক সেবন এবং ড্রিঙ্ক করার ফলে আমাদের কিডনি বিপদের মুখোমুখি থাকে।বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে ৩০ রমজানের ফলে আমাদের ট্রিট নিয়ে অনেকটা নিরাপদে চলে আসে। কেননা আমরা সেহরির সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি। এই বিশুদ্ধ পানি সারাদিন আমাদেরকে কিডনিকে সুস্থ রাখে। এভাবে টানা ৩০ দিন আমাদের কিডনি সুস্থ থাকে। যার ফলে কিডনির উপর মাদক ড্রিংসের কোন প্রভাব পড়েনা।
মেদ কমে যায়
রোজা ব্যতীত যে সময়গুলো আমরা পাই সে ক্ষেত্রে আমরা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকি এবং আমাদের শরীরের মেদ বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু টানা ৩০ রমজানের ফলে আমাদের এই খাবার একটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।৩০ রমজানের ফলে আমরা অতিরিক্ত খাবার খাইনা এবং যার ফলে আমাদের শরীর একটি খাবার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ম্যাপ অনেকটা কমে যায়।
টাকা ইনকাম করতে চাইলে এই চ্যানেলে যুক্ত হোন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমানে আমাদের জীবনে গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়াবেটিস এই দুটি রোগ সবার কাছে ভয়ানক রূপে ধারণ করেছে। একটু বয়স হলেই আমাদের ডায়াবেটিস রোগ আমাদেরকে জড়িয়ে ধরে। রমজান মাসে আমাদের খাবার স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীর ভারসাম্য অবস্থায় চলে আসে। যার ফলে আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের চলে আসে।
হাট ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে হাট ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য অবশ্যই ত্রিশ রোজা প্রয়োজন। ৩০ রমজানের ফলে আমাদের হাট আগের চেয়ে স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে এবং ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেকটা কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রমজান মাসে আমাদের খাবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আমরা নির্দিষ্ট সময় খেয়ে থাকি এবং সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীরের একটা নিয়মিত রুটিন তৈরি হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে আমাদের শরীরে ভালোভাবে কাজ করে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ রমজানের ফলে প্রতিটি ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
আমাদের মুসলিমদের জন্য ৩০ রমজান আশীর্বাদ স্বরূপ এসেছে। ৩১ রমজানের ফলে আমাদের এই কয়েকটি উপকার ছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকার হয়েছে। এই ৩০ রমজানের ফলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে পাঠিয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করব যথাযথ এই ৩০ রমজান পালন করার জন্য এবং ইবাদত করার জন্য। এ ৩০ রমজানের উসিলায় আপনাকে সৃষ্টিকর্তা অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।