• Home
  • Earning Tips
  • বাংলাদেশে ১০০০ পিস পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী পালনের হিসাব নিকাশ

বাংলাদেশে ১০০০ পিস পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী পালনের হিসাব নিকাশ

পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী

পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী আমাদের আশেপাশে অনেকেই লালন পালন করে থাকে।বাংলাদেশে ১০০০ পিস পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী পালনের হিসাব নিকাশ করতে হলে আপনাকে প্রাথমিক বিনিয়োগ, মাসিক খরচ, আয় এবং লাভের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। ব্রয়লার মুরগী সাধারণত ৩৫-৪০ দিনে বিক্রির উপযোগী হয়। নিচে ১০০০ পিস পোলট্রি বা ব্রয়লার মুরগী লালন পালনের একটি সাধারণ হিসাব দেওয়া হলো।স্থান ও পরিবেশ বেদে এই হিসাব কম বা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাথমিক বিনিয়োগ
১০০০ পিস ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগি লালন পালনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু প্রাথমিক বিনিয়োগ করতে হবে। ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগি লালন পালনের প্রাথমিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে শেখ নির্মাণ মুরগির বাচ্চা ক্রয় করা ফেডার ও ওয়াটার তৈরি করা।

শেড নির্মাণ
১০০০ মুরগীর জন্য প্রায় ১০০০-১২০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। শেড নির্মাণ, ফ্যান, লাইট, পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ১-১.৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

মুরগীর বাচ্চা ক্রয়
একটি ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চার দাম প্রায় ৮০-১০০ টাকা। ১০০০ মুরগীর জন্য প্রায় ৮০,০০০-১,০০,০০০ টাকা খরচ হবে। কোন ডিলারের কাজ থেকে নিলে একটু কম পাওয়া যেতে পারে।

অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন

ফিডার ও ওয়াটার
মুরগিকে পানি দেওয়ার জন্য এই ফিডারের ব্যবস্থা করতে প্রায় ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

অন্যান্য খরচ
ভ্যাকসিন, ওষুধ, বিদ্যুৎ সংযোগ, শ্রমিক ইত্যাদি জন্য প্রায় ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা।

মাসিক/প্রতি ব্যাচ খরচ
ব্রয়লার মুরগী সাধারণত ৩৫-৪০ দিনে বিক্রির উপযোগী হয়। 30 বা ৪০ দিন পরে আপনি এই মুরগি বিক্রি করে লাভের টাকা নিয়ে নিতে পারেন। প্রতি ব্যাচের খরচ নিম্নরূপ

খাদ্য
একটি ব্রয়লার মুরগী ৩৫-৪০ দিনে প্রায় ৪-৪.৫ কেজি খাদ্য খায়। ১০০০ মুরগীর জন্য প্রায় ৪০০০-৪৫০০ কেজি খাদ্য প্রয়োজন। প্রতি কেজি খাদ্যের দাম প্রায় ৩৫-৪০ টাকা। খাদ্য খরচ প্রায় ১,৪০,০০০-১,৮০,০০০ টাকা।

বিদ্যুৎ ও পানি
বিদ্যুৎবিল প্রায় ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা মত আসতে পারে। তবে সেটি ৫০০০ টাকার ভিতরেও হয়ে যেতে পারে।

ভ্যাকসিন ও ওষুধ
মুরগীর খাবারের সাথে ভ্যাকসিন ও মেডিসিন দিতে হয়। যার পিছনে প্রায় ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা মত খরচ হতে পারে।

শ্রমিক
আপনি যদি নিজেই মুরগির খামার করেন তাহলে এই টাকা আপনার খরচ হবে না। যদি আপনি কোন শ্রমিক রাখেন তাহলে একজন শ্রমিকের বেতন প্রায় ১০,০০০-১২,০০০ টাকা হতে পারে।

আয়
সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর আপনি যখন মুরগি বিক্রি শুরু করবেন তখনই আপনার আয় হওয়া শুরু করবে। আপনি একসাথে সব মুরগি বিক্রি করে একসাথে আপনি লাভের টাকা নিয়ে নিতে পারেন।

মুরগী বিক্রয়
৩৫-৪০ দিনে একটি ব্রয়লার মুরগীর ওজন প্রায় ২-২.৫ কেজি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি মুরগীর দাম প্রায় ১৩০-১৪০ টাকা। ১০০০ মুরগী বিক্রি করে প্রায় ২,৬০,০০০-৩,৫০,০০০ টাকা আয় করা যাবে।

লাভ
সাধারণত ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগিতে একটু কম সময়ে লাভ বেশি হয়। কম সময়ের মধ্যে মুরগি সঠিকভাবে ওজন বাড়াতে পারলে আপনি বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

প্রতি ব্যাচ লাভ
প্রতি ব্যাচে আয় থেকে খরচ বাদ দিলে প্রায় ৫০,০০০-১,০০,০০০ টাকা লাভ হতে পারে। আপনি যদি সঠিকভাবে মুরগী লালন পালন করতে জানেন তাহলে এক লক্ষ টাকা মতো লাভ হতে পারে।

প্রাথমিক বিনিয়োগ ফেরত
প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রায় ২-৩ ব্যাচের মধ্যে ফেরত আসতে পারে। প্রথম ব্যাচের লাভের টাকা দিয়ে আপনি কখনো প্রাথমিক বিনিয়োগ ফেরত পাবেন না। মুরগির খামার তৈরিতে এমন মুরগির সহ যাবতীয় খরচ আপনি দুই তিন বেশ মুরগি বিক্রি করলে চলে আসবে।

ঝুঁকি
ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগিতেও রোগের ঝুঁকি রয়েছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে না জানলে এমন পরিবেশ পরিষ্কার না থাকলে মুরগির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

টিউশন পাওয়ার উপায় কি ? টিউশন কিভাবে পেতে পারি ?

মুরগীর রোগ
মুরগির থাকার স্থান যদি অর্থাৎ আপনার খামার জন্য পরিষ্কার থাকে তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব হলে ক্ষতি হতে পারে।

মুরগীর দাম
বাজারে মুরগীর দাম কমে গেলে লাভ কমে যেতে পারে। অনেক সময় মুরগির দাম কমে যায়। যেমন শীতকালে সবজির দাম যখন ক্ষমা চাই তখন মুরগির দামও কমে যায়। তাই কোন ফাতেহা কিংবা ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে মুরগী তোলার সিদ্ধান্ত নিলে একটু ভালো দাম পাওয়া যায়।

খাদ্যের দাম
খাদ্যের দাম বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় খাদ্যের দাম প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় কিন্তু সে পরিমাণে মুরগির দাম পাওয়া যায় না।

বার্ষিক হিসাব
৩৫ থেকে ৪০ দিনে যদি একটি বেশ বিক্রি করা সম্ভব হয় তাহলে বছরে প্রায় ৬-৭ ব্যাচ পালন করা সম্ভব। সে হিসেবে বার্ষিক লাভ প্রায় ৩-৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।

মুলত এই হিসাবটি আনুমানিক এবং স্থান, সময়, বাজার দর, এবং অন্যান্য অবস্থার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে পারে। সঠিক হিসাবের জন্য স্থানীয় পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ বা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তবে আপনিও শুরুর দিকে একটু কম লাভ করতে পারেন। আপনার যখন অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে তখন আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন।  

Releated By Post

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার উপায় । টেলিগ্রাম চ্যানেল ও গ্রুপ থেকে ইনকাম

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। বর্তমানে মানুষ ফেসবুক…

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবেন কিভাবে ? ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করুন বুস্ট করে

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চাইলে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

× Text me